সম্প্রতি কোভিভের কারণ দেখিয়ে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচীতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজেই কোভিড বিধি ভেঙে জনসভা করছেন। এমনই অভিযোগ করল ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোভিডবিধি ভাঙার অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন সে রাজ্যের তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। কোভিড রুখতে আগামী ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় সব রকম মিছিল, জমায়েত, রাজনৈতিক সভায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই অজুহাতে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে রাজ্যে মহামিছিলের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। অভিষেকের গোটা সফরই বাতিল হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে বিস্তর রাজনীতিও হয়েছে। অভিষেককে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, বৃহস্পতিবার আগরতলা রবীন্দ্র ভবনে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সেখানে কোভিড বিধি ভঙ্গ হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালের উপস্থিতিতে আরেকটি জমায়েতেও কোভিড বিধি ভঙ্গ হয়েছে। অথচ, এই দুই ক্ষেত্রেই প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ত্রিপুরার মুখ্যসচিব অলোক কুমার সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছেন। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে কোভিড বিধির তোয়াক্কা না করে মিটিং-জনসভা করছেন, অথচ তাঁদের মিটিং মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এতেই প্রমাণিত হয়, তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজে করোনার নিয়ম মানছে না। আমরা মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করব। বিপ্লব দেবের শাস্তি হওয়া উচিত।”