২০১৯ সালে শেষবার সিনেমা দেখানো হয়েছিল মিত্রার পর্দায়। তারপর থেকে বন্ধই পড়ে ছিল এতদিন। অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে তা ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেল। চোখের সামনে একটু একটু করে ফিকে হয়ে যাচ্ছে হাতিবাগান এলাকার ঐতিহ্য।
মিত্রা সিনেমাহলের বয়স প্রায় ৯০ বছর হল। বর্তমানে এর মালিক দীপেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্র ও প্রয়াত বিচারপতি নীরেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্রদের পরিবার। শোনা যায় বীরেন সরকার নিউ থিয়েটারের নাম দিয়েছিলেন চিত্রা। এরপর ১৯৬৩ সালে তা কিনে নেন হেমেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্র। তখন থেকে এর নাম দেওয়া হয় মিত্রা।
মিত্রা সিনেমা হল ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় আবেগপ্রবণ সেখানকার বাসিন্দারা। এর সঙ্গে অনেকের অনেকদিনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। শ্যামবাজার হাতিবাগান চত্বরে মিত্রা হল সিনেমা দেখার অন্যতম ঠেক ছিল। সেসব এখন অতীত।
একের পর এক সিনেমাহল শহরের বুক থেকে মুছে যাচ্ছে। মিত্রাও তাই। অনলাইনের ভিড়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার রেওয়াজ ফিকে হচ্ছে দিন দিন। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন শহরের সিনেমাহলপ্রেমী মানুষজন।
মিত্রা ভেঙে সেখানে কী মাথা তুলবে? কেউ বলছেন শপিং মল হবে, কেউ বলছেন অন্যকিছু। এর আগে স্টার থিয়েটারেরও প্রায় একই দশা হয়েছিল। বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল ঐতিহ্য প্রাচীন স্টার। সেসময় তাকে নতুন করে আবার সাজিয়ে তুলেছিলেন তৎকালীন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মিত্রা প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সুব্রত বাবু বলেন, স্টারের সঙ্গে ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িয়ে ছিল। মিত্রা ভাঙা হচ্ছে সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক কারণে।