বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব নিয়েই এবার নিজস্ব টিম গড়ার লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছেন নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুজোর পরই রাজ্য কমিটি সহ সংগঠনে আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। সূত্রের দাবি, অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নয়া নেতৃত্বের খোঁজে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি। রাজ্য কমিটির বর্তমান একাধিক সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি প্রভৃতি অনেক নেতা পদ খোয়াতে চলেছেন। বিকল্প হিসেবে জেলায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করা লড়াকু নেতা এবং বেশকিছু বিধায়কের নাম নিয়ে জল্পানা চলেছে। দলের এক রাজ্য নেতার দাবি, বর্তমান রাজ্য কমিটির অনেক হেভিওয়েট নেতাকে সরিয়ে দিয়ে আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব তুলে আনতে চান নতুন সভাপতি। এটাই আপাতত তাঁর কাছে অগ্রাধিকার। একই সঙ্গে দলের একঝাঁক জেলা সভাপতি পদেও পরিবর্তন আসন্ন বলে মনে করছে বিজেপি সূত্র। অর্থাৎ পুজো মিটলেই দলের বহু সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্বে নতুন মুখ তুলে আনা হতে পারে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে পদ খোয়ানোর ভয় দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। কমিটিতে টিকে থাকার জন্যে বহু অভিজ্ঞ নেতা ইতিমধ্যেই লবি করতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, দলের সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ২০১৫ সালের শেষদিকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর পূর্বসূরী রাহুল সিনহার কমিটির একাধিক নেতা-নেত্রীকে ছাঁটতে শুরু করেন দিলীপবাবু। একটা সময় বিজেপির বহু নেতাকে প্রকাশ্যে ‘টিম দিলীপ’-এর সদস্য বলে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারও একইভাবে সংগঠনের রাশ ধরে রাখতে সেই পথই অনুসরণ করতে চলেছেন বলে দলীয় সূত্রের দাবি। এদিকে, এদিনই ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার গড়ে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তবে হরিশ চ্যাট্যার্জি স্ট্রিটে বিজেপির মিছিল পৌঁছতেই তা আটকায় পুলিশ। করোনা আবহে ভোটপ্রচারে নির্বাচন কমিশনের বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। বাকবিতণ্ডার পর সুকান্তবাবু প্রচার না করেই সেখান থেকে ফিরে যান।