পুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে পদ্মার ইলিশ উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিশ্রুতি মতোই ১৬ টন ইলিশ ইতিমধ্যেই পৌঁছল রাজ্যে। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনটি ট্রাকে করে রুপালি শস্য এসে পৌঁছায় রাজ্যে। বাংলাদেশ মৎস্য বিভাগের তরফে আগেই জানানো হয়, এরাজ্যে পদ্মার রুপোলি শস্য পাঠাবে সেদেশের সরকার। মোট ২০৮০ মেট্রিক টন ইলিশ আসবে।
বুধবার সন্ধ্যায় বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনটি ট্রাকে করে ১৬ টন ইলিশ প্রথম প্রবেশ করে ভারতে। আজ আরও ১১ ট্রাক ইলিশ ভারতে প্রবেশ করার কথা রয়েছে। পুজো উপলক্ষেই বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এই উপহার ভারতকে। মোট ২০৮০ টন ইলিশ পাঠানো কথা রয়েছে পস্চিমবঙ্গে, যার মধ্যে তিনটি গাড়িতে ১৬ টন ইলিশ এসে পৌছেছে।
১১টি গাড়ি এখন বাংলাদেশে আছে। সেই গাড়িগুলিও ধিরে ধিরে প্রবেশ করবে। গতবারও হাসিনা সরকার পুজোর আগে ইলিশ পাঠিয়েছিলেন ভারতে। এবছরও কথামত ইলিশ পাঠাল বাংলাদেশ সরকার। আশা করা যায় পুজোর মধ্যে আপামর বাঙালির পাতে উঠবে বাংলার পদ্মার ইলিশ।
হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে কিলো প্রতি দাম বারোশো থেকে তেরোশো টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। মাছ আমদানিকারী সংস্থা সিদ্ধেশ্বরী এন্টারপ্রাইজ-এর প্রতিনিধি অশোক মন্ডল জানান, মোট ২০০০ টন মাছ আমদানীর অনুমতি রয়েছে তাদের। এই মাছ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন বাজারে তারা পৌঁছে দেবেন। খুচরো বাজারে কিলো প্রতি মাছের দাম হতে পারে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে গত তিন বছর পুজোর আগে উপহার হিসাবে কিছু ইলিশ বাংলাদেশ সরকার পাঠায়। গত বছরে দুই হাজার মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় আসে। তবে এবারে মাছ আসতে এক সপ্তাহ দেরি হয়েছে। তবে যেহেতু স্থানীয় ইলিশের উৎপাদন এবছরে কম তাই বাংলাদেশি ইলিশ কিছুটা হলেও সেই ঘাটতি মেটাবে।