সোমবার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর দেহ। তারপর থেকে ক্রমেই রহস্য দানা বাঁধছে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ প্রধান মোহন্ত নরেন্দ্র গিরি মহারাজের মৃত্যু ঘিরে। বর্ষীয়ান ধর্মগুরুর সুইসাইড নোটে উল্লেখ থাকা তাঁর শিষ্যদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার জানা গেল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ আসার আগেই নাকি নরেন্দ্র গিরির ঝুলন্ত মৃতদেহ নামিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর শিষ্যরা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একটি ভিডিয়োর উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে হওয়ার সময় দেখা যায়, সিলিং ফ্যানে বাঁধা যে নাইলনের দড়ি গলায় বেঁধে আত্মহত্যা করেছিলেন সেটিকে তিন টুকরো করে কেটে শিষ্যরা দেহটি নামিয়ে এনেছেন। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। কেন পুলিশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগেভাগে নামিয়ে আনা হল দেহটি?
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই কোনও খোঁজ মিলছিল না নরেন্দ্র মহারাজের। তাঁর ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বারবার ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ দানা বাঁধে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপরই দরজা ভেঙে নরেন্দ্র গিরির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যা ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মোহন্তের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। যাতে নিজের মৃত্যুর জন্য তিনজনকে দায়ী করেছেন তিনি। তিনজনই তাঁর শিষ্য। ওই তিন অভিযুক্ত আনন্দ গিরি, আদ্য তিওয়ারি ও সন্দীপ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।