করোনা পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলি বন্ধ। পঠনপাঠন চলছে অনলাইনেই। তবে পুজোর পরপরই শিক্ষাঙ্গনগুলি খুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক পড়ুয়া এবং শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ হওয়াটা জরুরি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণের আওতায় আনা গিয়েছে। তবে, কলেজ পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখনও টিকাকরণের আওতার বাইরে। তাই এবার সব তাঁদের দ্রুত টিকার আওতায় আনা হবে। যে সব শিক্ষাকর্মীর টিকা পাওয়া বাকি, তাঁদেরও আনা হবে টিকাকরণের আওতায়। এমনই সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম নির্দেশ দিয়েছেন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের উদ্যোগ নিতে হবে।
স্বাস্থ্য সচিবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দফতর যৌথভাবে এই কর্মসূচী পালন করবে। আর গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন জেলাশাসক। তিনি ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন কোথায় কোভিড ভ্যাকসিন সেন্টার করা হলে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গেই অধ্যাপক ও শিক্ষা কর্মীদেরও যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। একটি ভ্যাকসিন সেন্টারে যাতে একদিন যথেষ্ট পরিমাণে টিকা নেওয়ার মতো উপভোক্তা থাকে তাও দেখতে হবে। সমস্ত দিক পর্যালোচনা করেই শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই এই কাজ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এর আগে এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয় স্বাস্থ্য কর্তাদের।