জমা জলের কারণে মঙ্গলবারের সভা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। বুধবার দুপুরের ঝমঝম বৃষ্টি দেখে সংশয় ছিল বিকেলে মমতার সভা হবে তো! সেই সভা হল। প্রচারের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ভাগ্যই তাঁকে ভবানীপুরে ফিরিয়ে এনেছে।তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকে হব, আমার কপালে লেখা আছে’।
একইসঙ্গে খিদিরপুরের সঙ্গে নিজের নির্বাচনী রাজনীতির যোগের কথাও তুলে ধরেন। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘সাত দফায় সাংসদ হয়েছি। প্রতিবার খিদিরপুর সঙ্গে ছিল। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০১৬ সালেও এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এটা ভাগ্যের খেলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবেন। আল্লাহ মেহেরবান, মা দুর্গা, কালী ঠাকুরের ইচ্ছা এটা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়’।
ভবানীপুরের নির্বাচন ঘোষণার পর অনেক তৃণমূল নেতাই বলেছিলেন, এই ভোট নাম কা ওয়াস্তে। ঘরের মাঠে খেলা হবে, দিদি গোল দেবেন। কিন্তু খিদিরপূরের প্রথম কর্মীসভা থেকে মমতা বুঝিয়ে দিলেন এই ভোটকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না তিনি। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। ১টা ভোট না পেলেও আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকে ভাবছেন, দিদি এমনিই জিতে যাবেন। আবার বৃষ্টির মধ্যে ভোট দিতে যাব কেন। কিন্তু, দোহাই ওই কাজটি করবেন না। আপনাদের প্রতিটা ভোট আমার দরকার’।
এদিনের কর্মীসভা থেকে বিজেপিকেও একহাত নেন মমতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে ইডির তলব নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে প্রশ্ন তোলেন, কেন রাজ্যের মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল। তবে সব ষড়যন্ত্রকে ধুলিসাৎ করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা। পুজোর আর মাত্র ১৯ দিন বাকি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পুজো কীভাবে হবে তা নিয়ে এখনও দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা। বুধবার এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবারের মতোই পুজোই হবে। তবে প্রত্যেককে মানতে হবে কোভিডবিধি।