পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী বদলের পর এবার কি রাজস্থানেও মুখ্যমন্ত্রী বদল? কংগ্রেসের অন্দরে এখন এই জল্পনাই উদীয়মান। তবে, কংগ্রেস সূত্র বলছে, পাঞ্জাবের মতো রাজস্থানে নেতৃত্ব বদল নিয়ে তাড়াহুড়ো করবে না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আপাতত শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলট দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের শান্ত করা গিয়েছে। তাই এখন রাজস্থানে নেতৃত্ব বদল নিয়ে আলোচনাও করবে না দল। আগামী বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। শোনা যাচ্ছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বা কংগ্রেস দলনেতা বদলের নিয়ে যাবতীয় আলোচনা করা হবে ওই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরপরই।
উল্লেখ্,, বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ দাবি করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছিলেন শচীন পাইলট। সেসময় কংগ্রেস শিবিরে ফিরে আসার জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত দেন তিনি। যা এখনও পূরণ হয়নি বলে দাবি তাঁর শিবিরের বিধায়কদের। সেসময় পাইলটের দাবি নিয়ে গেহলটের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল এআইসিসি’র তরফে। সেই কমিটি দু’পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করেছে। আপাতত পাইলট শিবিরকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে কমিটি। কার্যক্ষেত্রে গত কয়েকমাস রাজস্থানের রাজনীতি কার্যত নির্বিবাদ। সেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বা দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি পাইলট বা তাঁর শিবিরের বিধায়করা। তাতেই মনে করা হচ্ছে, শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বড় কোনও আশ্বাস পেয়েই হয়তো চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের তরুণ নেতা।
কংগ্রেস সূত্র অনুযায়ী, আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট মিটতেই রাজস্থানের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় বসবে দল। তখন শচীন পাইলটের ভাগ্যে শিকে ছিড়তে পারে। আসলে কংগ্রেস চাইছে রাজস্থানের ভোটের আগে আগে মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে। যাতে আগের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি ছিল, সেগুলি অকেজো হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হল, পাঞ্জাবের মতো অশোক গেহলটকে সরানোটা সহজ হবে কিনা? কারণ, পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিং বিধায়কদের সমর্থন পাননি। অশোক গেহলটের সঙ্গে কিন্তু বিধায়কদের সমর্থন আছে। তাঁকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়াটা যে সহজ কাজ হবে না, সেটা ভালোভাবেই জানে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।