লাগাতার বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতি, উদ্ধারকার্য নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব। কলকাতা পুরসভার কমিশনারকেও বৈঠকে থাকার নির্দেশ।
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ হয়েছে, জেলাগুলির তরফে তা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য জরুরি বৈঠক করছেন মুখ্য সচিব।
গত দুদিনের টানা বর্ষণে জল জমেছে শহরের একাধিক জায়গায়। টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল থই থই। ঠনঠনিয়া, ক্যামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি এলাকা জলমগ্ন। সোমবার কার্যত সারা দিনই পাম্প চালিয়ে জল গঙ্গায় ফেলা হয়েছে। গঙ্গায় জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে। শহরের নিকাশি নালার জল কীভাবে গঙ্গা দিয়ে বের করবে, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে কলকাতা পুর প্রশাসন।
এমনিতেই জেলাগুলিতে চাষের জমি জলের তলায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে চাষিদের। কাঁচা রাস্তা, মাটির বাঁধেরও প্রবল ক্ষতি হচ্ছে গ্রামগুলিতে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি মুর্শিদাবাদ এই সমস্ত জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। তবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টি হবে হালকা থেকে মাঝারি। উত্তর বঙ্গোপসাগরে হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবলভাবে সক্রিয়। আর তার জেরেই দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে।