ভবানীপুরে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই এলাকা থেকে ৬বার সাংসদ হয়েছেন তিনি। দু’বারের বিধায়কও। কিন্তু কেন ভবানীপুর কেন্দ্র এত পছন্দ তৃণমূল নেত্রীর? চেতলায় ভোটপ্রচারে এসে সেই গোপন তথ্যই তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কর্মীসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী জানালেন, মায়ের ইচ্ছেতেই ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি এখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছি। মা একদিন বলেছিলেন, তুই এখানে একবার দাঁড়াতে পারিস তো। আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন? মা বলেছিল, তাহলে আমি তোকে একটা ভোট দিতে পারি। আমারও তো আমার মেয়েকে ভোট দিতে ইচ্ছে করে।”
পাশাপাশি, ওই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেক বাসিন্দাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তাঁর কথায়, “আপনাদের এক-একটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের ভোট ছাড়া আমাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাবেন না। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিন।” একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে শানালেন আক্রমণও। তাঁর কথায়, ভবানীপুরেও বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছে। ভিতরে কেউ নেই। শুধু বহিরাগতরা প্রচার করছে। ওঁদের জিজ্ঞেস করুন, মানুষের জন্য কী করেছে? বলুন, আগে গ্যাসের দাম দিয়ে যান, তার পর ভোট চান।” তার পরই দিল্লী দখলের ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ”এই ভোট মিটলেই অন্য রাজ্যের জন্য ঝাঁপাব। খেলাও হবে, দিল্লীও দখল হবে।”
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী তুলে ধরেন তাঁর সংগ্রামের কথা। মমতা বলেন, “হাজরা মোড়ে আমাকে মেরেছিল, আপনারা তো জানেন। সেবার ভোটে দাঁড়ানোর মতো শারীরিক ক্ষমতা আমার ছিল না। তখন দল বলল, ভবানীপুর থেকে দাঁড়াতে। এখান থেকে আমি ৬বার সাংসদ হয়েছি। ২বার বিধায়ক হয়েছি। অন্য জায়গায় দাঁড়ালেও আমার মন তো এখানে পড়ে থাকে। এই এলাকা তো আমি চষে বেড়াই। পুজোর সময় আসি। সব অনুষ্ঠানে আসি।” এর পরই তিনি এলাকার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। রাজ্য সরকার কীভাবে রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাও উল্লেখ করেন।