আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি মেটেনি বিশ্ব ভারতীর পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। বহিষ্কৃত ছাত্রদের ক্লাসে ফেরার অনুমতি মিলেছে। তবে এখনও পড়ুয়াদের দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগ চান তাঁরা। এই বিতর্কের মাঝেই আচমকা ছুটিতে চলে গেলেন বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আজ থেকে পাঁচ দিনের ছুটি নিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্যের ছুটি ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। ২২ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে থাকছেন উপাচার্য। এই পাঁচ দিন উপাচার্য পদ সামলাবেন বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ তারাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই ছুটি নিয়ে দিল্লী যাচ্ছেন উপাচার্য।
বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটার পর উপাচার্য ছুটি নেওয়ায় শান্তিনিকেতনে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে উপাচার্যের ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনে অচলাবস্থা কাটার পর দিল্লি থেকে ডাক পেয়েছেন উপাচার্য। তাই তড়িঘড়ি আজ দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর থেকে ডাক পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার সম্ভাবনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের।
প্রসঙ্গত, তিন পড়ুয়া এবং অধ্যাপককে সাসপেন্ড করার ঘটনায় আন্দোলন চরমে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীকে টানা ছয় দিন ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। অচলাবস্থা জারি হয় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। বিক্ষোভের জেরে মামলা গড়ায় আদালতে। সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানান, ‘উপাচার্য আইনের উর্ধ্বে নন’। বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
সেই নির্দেশ অনুসারে, ৩ বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের ক্লাসে যোগ দিতে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর প্রোক্টর শঙ্কর মজুমদার। কিন্তু, তারপরও ক্লাসে যোগ দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিন বহিষ্কৃত পডুয়া।