১২ বছর পর অবশেষে কেটেছে ইরা বসুর পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকাকে সরকারি পেনশন দিতে ব্যবস্থা নিয়েছে অর্থ দপ্তর। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মেয়ে সুচেতনা ভট্টাচার্যকে তাঁর নমিনি করা হয়েছিল। তবে বুধবার বুদ্ধদেবকন্যা সাফ জানিয়েছেন তিনি নমিনি থাকতে চান না।
কিছুদিন আগে ডানলপের কাছে ফুটপাতে ভবঘুরে অবস্থায় পাওয়া যায় ইরাদেবীকে। একসময়ের শিক্ষিকা ইরাদেবীকে ওই অবস্থায় দেখে অবাক হন অনেকেই। রাস্তায় দিন কাটালেও কারও কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য নেননি তিনি। তাঁর পরিচয় মিলতেই বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই। দ্রুত নেটদুনিয়ায় তাঁর দুর্দশার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তিনি থাকতে চাননি। ফিরে আসেন খড়দহে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকাকে এমন অবস্থায় পাওয়ার খবর পৌঁছায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি লোক পাঠিয়ে ইরাদেবীর খোঁজখবর নেন। অভিষেকের প্রতিনিধিরাই ইরাদেবীকে পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
রীতিমতো বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত মাসে ১৩ হাজার ৯৮৫ টাকা পেনশন বাবদ পাবেন ইরাদেবী। খড়দহের প্রিয়নাথ হাইস্কুলের শিক্ষিকার পদ থেকে ২০০৯ সালের ১ মে অবসর গ্রহণ করেছিলেন ইরাদেবী। ওই তারিখ থেকেই তাঁর পেনশন কার্যকরী হবে। মাসিক পেনশন ছাড়াও নির্দিষ্ট সময় থেকে তাঁর যে বকেয়া পেনশন রয়েছে, তাও তাঁকে মিটিয়ে দেওয়া হবে।
তবে মাসির সম্পত্তি নেবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন সুচেতনা ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “ইরা বসুর জন্য বাবা-মাকে অসম্মানিত হতে হয়েছে। আমি ওঁর কোনও সম্পত্তি নেব না। উনি যেন ভবিষ্যতে কোনও কিছুতে আমাদের না জড়ান।” এই ক্ষোভের কারণ, ইরাদেবী পথে পথে ঘুরে বেরানোয় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল ভট্টাচার্য দম্পতিকে।