একবার-দু’বার সমস্যা হতে পারে। তাই বলে বারবার নানা কারণে বাতিল হয়ে যাচ্ছে অভিষেকের সভা। ত্রিপুরা যখন ঘাসফুল শিবিরের পাখির চোখ, তখন মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে পিছপা হচ্ছে না তৃণমূলও। বিপ্লব দেব সরকারকে যে কোনও অবস্থাতেই চাপে ফেলা এখন লক্ষ্য তৃণমূলের। তাই বারবার বাতিল হওয়ার পরও নিজেদের অবস্থানে একেবারে অনড় থাকছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আদালত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে সেই ইস্যু। যদিও অভিষেকের সভা সংক্রান্ত মামলায় আদালত জানিয়ে দেয়, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে কোনওভাবে আদালত হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ফলে বুধবারের পদযাত্রা বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। বিপ্লব দেব সরকারের কাছে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, সভা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আজই ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করবে তৃণমূল। ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে সভা সমাবেশে বন্ধের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবে তৃণমূল। ত্রিপুরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাইবে তারা। পাশাপাশি ইনডোরে সভা করতে গেলে অনুমতির জন্য কী কী প্রয়োজন? আদৌ অনুমতি দেওয়া হবে কী না, হলে কতজন থাকতে পারবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। একটা নির্বাচিত সরকার তার ইচ্ছা মতো আইন বা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে কী? গণতান্ত্রিক দেশের কোনও অঙ্গরাজ্যে এমন ঘটনা ঘটলে বিচার বিভাগ কী শুধু দর্শক হয়ে থাকবে? এ কথাও আদালতের কাছে জানতে চাইবে তৃণমূল।
গতকাল রাতে জোড়া টুইট করে তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু আদালত সরকারি নীতির উপর হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই কারণে এই সফর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ‘প্রশাসনিক ক্ষমতার এরূপ অপব্যবহার কতদিন পর্যন্ত করা যায়’, আদালতের কাছে সেই ব্যাখ্যাও তৃণমূল চাইবে বলে জানায়। এর পাশাপাশি টুইটে দাবি করা হয়, যতবারই তৃণমূল কোনও কর্মসূচির আবেদন জানিয়েছে, সেই আবেদন বাতিল করা হয়েছে।