আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-এই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকে নজর রেখেই সম্প্রতি মুজফফরনগরের মহাপঞ্চায়েত থেকে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করার শপথ গ্রহণ করেছিলেন কৃষক নেতারা। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিজেপির সাংসদ অক্ষয়বর লাল গোন্দ দাবি করলেন, কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত ডাকাত ছাড়া কিছু নন। বিদেশিদের অর্থে ওই আন্দোলন চলছে।
বাহরাইচের সাংসদ গোন্দ সাংবাদিকদের বলেন, প্রকৃত কৃষকরা আন্দোলনে শামিল হননি। বিভিন্ন দলের লোক ওই আন্দোলনে আছে। তারা ‘শিখিস্তান ও পাকিস্তানের’ দ্বারা প্রভাবিত। কানাডা ও অন্যান্য দেশ থেকে তাদের জন্য অর্থ আসছে। গোন্দের কথায়, ‘যদি কৃষকরা আন্দোলন করত, তাহলে এতদিনে দেশে খাদ্যশস্যের অভাব দেখা দিত।’ স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে একটি মেগা বৈঠকে সামিল হন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা। আবার আন্দোলন পুরোদমে শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। কৃষক নেতারা বলেন, সরকার বলছে গুটিকয়েক কৃষক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তাঁদের আমরা দেখিয়ে দিতে চাই আমরা সংখ্যায় কম নই। পার্লামেন্টে যাঁরা বসে আছেন আমরা আমাদের আওয়াজ তাঁদের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেব।
এরপরেই গত ৭ সেপ্টেম্বর আন্দোলনরত কৃষকরা জমায়েত করেন হরিয়ানার কারনালে। গত ২৮ অগাস্ট কারনালে কৃষকদের ওপরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছিলেন সুশীল কাজলা নামে এক কৃষক। পরে তিনি মারা যান। পুলিশ দাবি করে, হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত পরে টুইট করে বলেন, সুশীল কাজলার মৃত্যুর বিচার চাইতে তাঁরা মহাপঞ্চায়েত বসাবেন ও বিক্ষোভ মিছিল করবেন।