বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে সরিয়ে বঙ্গ বিজেপির মাথায় আনা হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্তের পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের মতে, এই সিদ্ধান্ত আসলে বিজেপির গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহের জন্যই নেওয়া হয়েছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য তৃণমূল শিবিরের।
এই প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘এটা বিজেপির একেবারে অভ্যন্তরীন ব্যাপার। এখানে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। বিজেপির তো এই গোষ্ঠী ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বলে আর ওই গোষ্ঠী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বলে। এখন দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, দিলীপবাবু বুঝবেন।’ একইসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘এখন তিনি কী করবেন সেটা দিলীপবাবু নিজেই ভাববেন। তিনি আরএসএস-এ ফিরে যাবেন নাকি বিজেপি করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। তিনি তো এখনও সাংসদ আছেন।’ এরপরই ‘খোঁচা’ মেরে তাঁর মন্তব্য, ‘দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে দুর্ঘটনায় অপমৃত্যু।’
সোমবার আচমকাই পদ্মশিবিরে নাটকীয় রদবদল ঘটল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিলীপ ঘোষের অপসারণ হতেই রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ে যায়। এদিন বিজেপির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং এই খবর জানান। বিবৃতি অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার নির্দেশেই এই রদবদল। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে সর্বভারতীয় জনতা পার্টির সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই পদেই আগে ছিলেন মুকুল রায়। তিনি ২১-এর বিধানসভার পর তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায়, ওই পদটি খালিই ছিল।