বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের পরই দুশ্চিন্তার পারদ চড়ছে বিজেপির অন্দরে। দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, এরপর কে? সেই সূত্র ধরেই এবার কি বাবুল সুপ্রিয়র পথ ধরে দলবদল করতে চলেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী? অন্তত সে রকমই ইঙ্গিত মিলেছে বিজেপি বিধায়কের কাছ থেকেও ৷ স্পষ্ট করেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তিনিও অন্য কিছু ভাববেন।
বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের পরই বিজেপির অন্দরে কানাঘুষো চলছে, এবার কি তবে দলবদলের লাইন লাগবে? তেমন কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত না এলেও রবিবার নিজের অফিসে বসে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের প্রসঙ্গ এনে বলেন, ‘এখন এটাই দেখার সময়, কে কোথায় অসম্মানিত বোধ করছেন! কে কতটা গুরুত্ব পাচ্ছেন, আর কে গুরুত্ব পাচ্ছেন না! এই বিষয়গুলিই দেখার বিষয়। আর যাঁরা দল ছাড়ছেন, তাঁরা এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন’৷ তিনি নিজেও নানা কারণে দলের সমস্ত কার্যকলাপ থেকে দূরে রয়েছেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রীতিমতো দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার দাবি মানার জন্য দলকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। সময় মতো কাজ না-হলে এবার আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে।’ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুকুল রায় সহ চার বিজেপি বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। তবে, সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজনীতি ছাড়ার কথা বলে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তিনি এখন তৃণমূলে। তাঁকে প্রথম ‘একাদশে’ রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরই মধ্যে আরও ভাঙনের গুঞ্জন চলছে বিজেপির অন্দরে।
এরই মধ্যে বাবুলের দলবদলকে সমর্থন জানিয়েছেন ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ কল্যাণী। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরে ভোটের আগেআগেই জেলা সভাপতি বদল করেছিল বিজেপি। দলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি করা হয় বাসুদেব সরকারকে। তা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর সঙ্গে বিপুল সংঘাত রয়েছে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীরও। ফলে সেই ক্ষোভ খুব সহজে মিটবে বলে মনে করছে না দলের একাংশই। ফলে ভাঙনের আশঙ্কা এখনও কাটছে না গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।