এবার যোগীরাজ্যে ভিনধর্মী যুগলের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিযোগ উঠল হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠে একটি মুসলিম ছেলে ও হিন্দু মেয়েট গাছের তলায় বসে ছিল। অভিযোগ, মঞ্চের সদস্যরা ছেলেটিকে মারধর করে, মেয়েটিকে বাধ্য করে তাঁর মুখে জুতোর বাড়ি মারতে! দুজনকে বেইজ্জত করতে ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়। মুসলিম ছেলেটিকে বলপূর্বক ধর্মান্তরণের অভিযোগে পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করানোর চেষ্টা হয়।
মঞ্চের জেলা সভাপতি সচিন সিরোহী বলেন, এক দোকানদার দুজনকে দেখে খবর পাঠান। এরপরই সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে হাজির হন সচিন, ছেলে-মেয়েদুটিকে ঘিরে জেরা চলে। কী নাম-ধাম তাদের, জানতে চায় মঞ্চের লোকজন। ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, মঞ্চের একজন মেয়েটিকে বলছে, তোর পায়ের চটিজোড়া খুলে ওর মুখে মার! মেয়েটি আস্তে মারায় সবাই বলে ওঠে, এটা কী হল! আরও জোরে মার! দুবার মেয়েটি ছেলেটিকে চটি মারার পরও মঞ্চের সদস্যরা বলে, আমরা তোর ভাই। এখানে আমরা আছি। আবার মার ওকে। একজন চিৎকার করে ছেলেটিকে বলে, কোন সাহসে তুই ওর পাশে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিস! আরেকজন বলে, ওর ফোনে মেয়েটার ছবি আছে। এখানেই শেষ হয় ভিডিয়োটি।
এরপর মঞ্চের সদস্যরা ছেলেটিকে কান ধরে দুপায়ের ফাঁকে মাথা ঢোকাতে বলে। তারপর আরও এক দফা মারধর চলে। প্রায় আধ ঘন্টা এসব হওয়ার পর ছেলেটিকে টানতে টানতে থানায় নিয়ে যায় তারা। মেয়েটি যদিও থানায় জানান, ছেলেটি তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি, সে নিজের ইচ্ছেয় তার সঙ্গে এসেছে। মঞ্চের লোকজন তখন মেয়েটির এক বান্ধবীর মাকে ডেকে নিয়ে আসে, তাঁকে দিয়ে অভিযোগ লেখানো হয় যে, ছেলেটি তাঁর নাবালক মেয়েকে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাজারের রাস্তায় টেনে নিয়ে গিয়েছিল। যদিও সিভিল লাইন্সের সার্কল অফিসার দেবেশ সিং জানিয়েছেন, আমরা জেনেছি, অভিযোগ মিথ্যা, চাপ দিয়ে দায়ের করানো। সিরোহী ও তার সংগঠনের অজ্ঞাতপরিচয় সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি আমরা।