আদালতের উপর আস্থা হারিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এমনটাই আদালতকে জানালেন কঙ্গনার আইনজীবী। ২০ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের অন্ধেরী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল কঙ্গনা রানাওয়াতের। তাঁর বিরুদ্ধে প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই সূত্রেই আজ আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আদালতের উপর কোনও আস্থা নেই। তাই হাজিরাও দেবেন না।
কঙ্গনা রানাওয়াতের আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি নায়িকার হয়ে আদালতকে জানান, ‘এই কোর্ট বারংবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করার কথা বলেছে। ফলে কোনও মামলার শুনানির জন্যে এই আদালতে এসে হাজিরা দেওয়ার বিষয়ে একেবারেই স্বচ্ছন্দ নন কঙ্গনা। আমরা ওর বিরুদ্ধে মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছি।’
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই মানহানি মামলার শুনানি শুরু হয়। বার বার কঙ্গনা রানাওয়াতকে ডেকে পাঠানো হলেও তিনি একবারও হাজিরা দেননি। এতেই বেজায় ক্ষিপ্ত হন বিচারক। কঙ্গনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করার কথাও বলেন। সেই সময়ে তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছিলেন, নায়িকার কোভিড লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।
তবে এটাই প্রথম নয়। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। মুনাওয়ার আলি নামক এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। কঙ্গনার বিভিন্ন আপত্তিকর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধেই ছিল এফআইআর। এই তথ্য জানানোর পর পাসপোর্ট অফিস তাঁকে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট রিনিউ করাতে হলে তাঁকে আদালতের ছাড়পত্র নিয়ে আসতে হবে। এই মর্মেই আদালতের কাছে হত্যে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। আবেদন করেছেন যাতে আদালত তাঁর অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত হওয়ার থেকে আটকায়।
বিভিন্ন সময়ে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কঙ্গনা রানাওয়াত। তবে মন্তব্য করার থেকে তাঁকে আটকায় কার সাধ্যি! বলিউড কলিগ শিল্পা শেট্টির স্বামীর গ্রেফতারি সম্পর্কে কড়া মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন কঙ্গনা। সেই সময়ে তিনি বলেন, ‘ঠিক এই কারণেই আমি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে নর্দমা বলি। যা কিছু চকচক করে সবই যে সোনা হয় না, তা আরও একবার প্রমাণিত। আমি প্রমিস করছি আমার আগামী প্রোডাকশন টিকু ওয়েডস শেরুতে বলিউডের নোংরামি ফাঁস করে দেব। ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রং ভ্যালু সিস্টেমের ভীষণ প্রয়োজন, দরকার কড়া অনুশাষণেরও।’