‘মেয়ের স্কুলের ভর্তি নিয়ে ডেরেকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। যা ঘটার গত চার দিনে ঘটেছে’। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বললেন বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি তৃণমূলে যোগদানকে ‘বিরাট বড় সুযোগ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তিনি। তার আধ ঘণ্টা পর তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে প্রথমেই বলেন, ‘খুব স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই। আমি রাজনীতি ছাড়ার যে কথা বলেছিলাম, সেটা পুরোপুরি হৃদয় থেকেই বলেছিলাম। কিন্তু আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আগের সিদ্ধান্ত বদল করছি। আমি একটা বড় সুযোগ গ্রহণ করছি বাংলার মানুষকে সেবা করার। আমি অত্যন্ত উচ্ছসিত’।
কিন্তু পদ্মফুল থেকে ঘাসফুলে কীভাবে? বাবুলের কথায়, ‘যা হয়েছে গত ৪ দিনের মধ্যেই হয়েছে। মেয়ের স্কুলে ভর্তি নিয়ে ডেরেকের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছিল। অভিষেক ও মমতাদির পক্ষ থেকে আমার উপর বিরাট আস্থাও দেখানো হয়। আমার পারিপার্শ্বিক সকলেই আমার রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। আবেগতাড়িত হয়ে নেওয়া সব সিদ্ধান্তই যে ভুল হবে তার কোনও মানে নেই। কিন্তু আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি আগের সিদ্ধান্ত বদল করছি’।
কেন বিজপি ছাড়লেন বাবুল? সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে বলেন, ‘৭ বছর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য আমি যে কাজ করেছি, সেখানে একটা ফুলস্টপ এসে গিয়েছিল। কেন এসেছিল জানি না। এর পেছনে আমি যুক্তিও পাইনি। ৭ বছরের পরিশ্রম পুরোপুরি ধুলোয় মিশে গিয়েছিল। এটা কোনও প্রতিশোধের রাজনীতি নয়। আমি সুযোগ হিসেবে এটাকে দেখছি’।