বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও ঋণ-কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ব্যাঙ্ক জনস্বার্থমূলক প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে না, এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল নবান্ন। এই বিষয়ে আজ, শনিবারই সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কোনও ব্যাঙ্ক যদি ছাত্র-ঋণের ব্যাপারে ক্রমাগত অসহযোগিতা করে যেতে থাকে তাহলে সেই ব্যাঙ্কে সরকারি কাজ ও প্রকল্প বাবদ জমা থাকা তহবিল তুলে নেওয়া হবে। তাঁদের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন করা হবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্যবাসীকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিতে। কৃষক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য ঋণের ব্যবস্থা-সহ একাধিক প্রকল্প রয়েছে। অন্যান্য কল্যাণ প্রকল্পের মতো প্রাক-নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির তালিকায় থাকা পড়ুয়াদের ঋণ-কার্ড প্রকল্পটিও তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই চালু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রকল্প রূপায়ণের আগে এবং পরে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করতে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কারণ, এই প্রকল্পের ‘গ্যারান্টার’ সরকার নিজেই।
কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রের পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না। প্রশাসনের নজরে এসেছে, সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু ব্যাঙ্ক এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই সাহায্য করছে না অথবা ঢিলেমি করছে। এর ফলে রাজ্যের কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। সব থেকে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী। দেশে এবং বিদেশে পড়তে যাওয়ার সময় এসে গেলেও বিভিন্ন টালবাহানায় তাঁদের ঋণ থেকে বঞ্চিত করছে একাধিক ব্যাঙ্ক। একাধিক অভিযোগ নবান্নের নজরে আসায়, ব্যাঙ্কগুলিকে এর আগেও সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও এই ধরনের কাণ্ড ঘটানোয় এবার কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলানো হবে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।