জিতবে ত্রিপুরা’, হ্যাশট্যাগকে সামনে রেখেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের জন্যে প্রচার শুরু করল তৃণমূল। ত্রিপুরায় ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের জন্যে ইতিমধ্যেই ঝাঁপাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে প্রচার শুরু করে দিল ত্রিপুরা তৃণমূল।
অনেক টালবাহানা, বিধিনিষেধকে দূরে সরিয়ে রেখে মঙ্গলবার দুপুরে ত্রিপুরায় পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই জানাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও বিশ্বকর্মা পুজো থাকার কারণে মেলেনি প্রশাসনিক অনুমতি। ফলে সফর পিছিয়ে দিতে হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অবশেষে আগামী সপ্তাহে তিনি আসছেন আগরতলায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগরতলা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি এসে যোগ দেবেন মিছিলে।কথিত আছে, ত্রিপুরার যে কোনও ভালো কাজ শুরু হয় মাথাবাড়িতে ত্রিপুরেশ্বরী দেবীর আশীর্বাদ নিয়ে। তাই এই রাজ্যে জাঁকিয়ে বসার আগে তৃণমূলও নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করছে মাথাবাড়ি থেকেই। অবশ্য উদয়পুর, মাথাবাড়ি অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একাধিক পরিবার যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখান থেকেও বহু মানুষ যোগ দেবেন অভিষেকের মিছিলে।
তৃণমূলের ত্রিপুরার নেতারা জানিয়েছেন, এর পর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেবেন জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট। সেই অনুযায়ী আগামী দিনে এগোনোর পরবর্তী নির্দেশ দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, সংগঠন পাকাপোক্ত করার জন্যে নতুন মুখও তুলে আনতে পারেন তিনি। তার আগে মঙ্গলবার গঠিত হতে পারে স্টিয়ারিং কমিটি। তৃতীয় বার বাংলায় ক্ষমতায় আসা ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসার পরই অভিষেক জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূল ভিনরাজ্যে যেখানেই যাবে, শুধুমাত্র ভোট শতাংশ কাটার জন্য যাবে না। বরং সরকার গড়া বা সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নিতেই যাবেন তাঁরা।