অভিযোগ, জমি কেলেংকারিতে যুক্ত অভিনেতা সোনু সুদ। সেজন্য শুক্রবারও তাঁর বাড়িতে হানা দিলেন আয়কর অফিসাররা। এই নিয়ে পরপর তিনদিন অভিনেতার বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা হল। মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনা ও দিল্লীর শাসক দল আম আদমি পার্টি প্রশ্ন তুলেছে, অভিনেতার বাড়িতে বারবার আয়কর অফিসাররা হানা দিচ্ছেন কেন? তাঁদের উদ্দেশ্য কী? ৪৮ বছর বয়সী সোনু সুদ কোভিড অতিমহামারীর সময় ত্রাণের কাজ করেছেন। সেজন্য নানা মহল থেকে প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেতা। গত মাসে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করেন, তাঁর সরকারের ‘দেশ কি মেন্টর’ প্রোগ্রামে অভিনেতাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর নিয়োগ করা হয়েছে।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, অভিনেতার কোম্পানির সঙ্গে লখনউয়ের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার যোগসাজশ নিয়েই খোঁজ নিচ্ছেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। তাঁদের ধারণা, অভিনেতা বিপুল অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছেন। এর আগে ২০১২ সালেও কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে সোনু সুদের বাড়িতে আয়কর হানা হয়েছিল।
অনেকের অভিযোগ, আপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্যই অভিনেতার বাড়িতে বার বার হানা দিচ্ছে আয়কর দফতর। দুই দশক আগে বলিউডে অভিনয় শুরু করেন সোনু সুদ। গতবছর কোভিড অতিমহামারীর সময় লকডাউনে বহু পরিযায়ী শ্রমিক বিপদে পড়েন। সোনু সুদ দরাজ হাতে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন। ওই সময় অপর কোনও বলিউড তারকাকে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
গত মে মাসে অভিনেতা একটি গ্রামকে খাওয়ানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি এক রিয়েলিটি শো-র বিচারক হয়েছিলেন। সেখানেই এক প্রতিযোগী কাতর স্বরে তাঁর গ্রামের কথা জানান সোনুকে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউন ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রদেশের সরকার। করোনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হলেও দিন-আনি, দিন-খাই লোকেদের বাস যে নিমাচ গ্রামে, সেখানকার লোক পড়েন চরম সমস্যায়। দু-বেলা দুমুঠো খেতে পর্যন্ত তাঁরা পাচ্ছেন না বলে সোনুর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়েলিটি শো-র প্রতিযোগী উদয়। যিনি নিজেও পেশায় দিনমজুর।
সোনু তাঁকে জানান, “উদয় আমি তোমার মাধ্যমে তোমার সমস্ত গ্রামবাসীকে বলতে চাই ওখানে একমাস, দু’মাস-ছ’মাস যতদিনই লকডাউন হোক না কেন, সকল গ্রামবাসী যাতে রেশন পায় সেই ব্যবস্থা আমি করব। গ্রামবাসীদের চিন্তা করতে বারণ করো। তোমার গ্রামের কেউ অভুক্ত থাকবে না, সে লকডাউন যতদিনই চলুক না কেন।”