আসন্ন এক সপ্তাহের মধ্যেই বড় চমক দেখা যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার দলের দিল্লী সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলার বাইরের কোনও দলের কোনও বড় নাম যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে। হঠাৎ করেই দলের রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, কাকে আনার জন্য সরানো হল অর্পিতাকে? তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, “ব্যক্তির তুলনায় দল বড়। গত কালের ঘটনায় সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। অর্পিতাকে দলের অন্য ভূমিকায় ভাবা হয়েছে।” তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, দলকে বাংলার বাইরে সম্প্রসারিত করার জন্য কিছু কৌশলের কথা ভাবা হচ্ছে। যথারীতিই জল্পনা, কে হতে পারেন তৃণমূলের নতুন রাজ্যসভার সদস্য? কংগ্রেস থেকে কোনও নেতার কি তৃণমূলে যোগ দেবেন? সেই সম্ভাবনা একেবারে নাকচ না করলেও কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বা জি-২৩ থেকে কাউকে নেওয়ার সম্ভাবনা কম, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও গত কাল তৃণমূলের এক নেতার সঙ্গে গুলাম নবি আজাদের বৈঠক হয়েছে বলে এআইসিসি সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে কয়েকটি সূত্র দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে প্রথমটি হল, যিনি আসবেন তিনি অন্য রাজ্যের নেতা। দ্বিতীয়ত, তাঁর তৃণমূলে অন্তর্ভুক্তি হলে বিজেপি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তৃতীয়ত, জাতীয় স্তরে তিনি নাকি একটি বড় নাম। তৃণমূল যে হেতু বাংলার বাইরে ত্রিপুরায় শক্তিবৃদ্ধি করার জন্য ঝাঁপিয়েছে, তাই সেখানকার কাউকে আনা হবে কিনা, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। ত্রিপুরার বর্তমান মহারাজা তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য দেববর্মা সম্প্রতি গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের ডাক দিয়েছেন। তার জন্য তিপ্রা মথা বলে নতুন দলও করেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল আমাদের দাবিকে সমর্থন করলে ভাল। রাজনৈতিক ভাবে কেউই অস্পৃশ্য নয়। ফলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হলে তৃণমূল বাঙালি এবং উপজাতি ভোট ব্যাঙ্ককে এক ছাতার তলায় আনতে পারবে।” তবে তৃণমূলেরই এক সূত্র জানাচ্ছে, বিষয়টি দলের বিচারাধীন। কারণ প্রদ্যোতের সঙ্গে জোট করলে তিনি নিজের রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্খা চরিতার্থ করার দিকেই বেশি জোর দেবেন। তৃণমূলের তাতে তা কতটা লাভজনক হবে, ভাবা হচ্ছে সেটাও।