চলতি মাসের শেষেই রয়েছে ভবানীপুরের উপনির্বাচন। আর তাই এবার এলাকার বহুতলের পাশাপাশি বস্তি অঞ্চলের সব ভোটও নিজেদের ঘরে তুলতে চায় তৃণমূল।
বস্তি এলাকার প্রচারের যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন বন্দরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে খুঁটিনাটি তথ্য তার নখের ডগায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘সব বস্তিতে আমার ইনচার্জ আছে। তারা এলাকার সুবিধা-অসুবিধা সব খবর সময় মতো আমাকে দিতে থাকে। আর এই যোগাযোগটা আমার সারা বছরের জন্যে। ভোটের কথা মাথায় রেখে আমাদের দল কাজ করে না।’ ইতিমধ্যেই এই সব এলাকায় সকলে ভ্যাকসিন পেয়েছেন কিনা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যে ফর্ম ফিলাপ করেছেন কিনা, স্বাস্থ্য সাথী এলাকার মানুষ পেয়েছেন কিনা সবটাই প্রচারের ইস্যুতে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসলে তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতার এই একটা উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আগামী কলকাতা পুরসভা ভোটের দৌড় শুরু করে দিয়েছে।
অন্য দিকে ভবানীপুরের ৮ ওয়ার্ডে সকাল-বিকাল জোরদার প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। যেহেতু কোভিড বিধির কারণে মিছিল বা বড় সভা করা যাবে না। তাই ঠিক হয়েছে অল্প অল্প করে দলে ভাগ হয়ে চলছে প্রচার। ইতিমধ্যেই আট ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে দলের ৭ নেতাকে। তাঁরাই যাবতীয় প্রচার কর্মসূচী নজরে রাখবেন। এর পাশাপাশি বড় অংশের মানুষের কাছে ভবানীপুরের ঘরের মেয়ের বার্তা তুলে ধরতে ওয়ার্ড পিছু ৬টি করে হচ্ছে স্ট্রিট কর্ণার। যেখানে থাকছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা বিধানসভা জুড়ে প্রায় ৫৬টি এই ধরণের পথ সভা করতে চলেছে তৃণমূল। ঘরের মেয়ের প্রচারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলাদের ওপরেও। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ভবানীপুরের পাড়ায় পাড়ায় বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন।