মেয়াদ ছিল ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার প্রায় ৫ বছর আগেই হঠাত রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ। হঠাত তাঁর এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে, তখনই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে ইস্তফার আসল কারণ বর্ণনা করেছেন বিখ্যাত এই নাট্যকর্মী।
অভিষেককে লেখা চিঠিতে অর্পিতা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলার কাজ করতে আগ্রহী। সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া হোক। চিঠিতে বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর থেকেই ভাবছিলাম, দলের কাজ কীভাবে করব। আমায় যদি বাংলায় দলের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সাংসদ পদে না থেকে সেই কাজ করতে আমি বেশি আগ্রহী। আমার লক্ষ্য স্পষ্ট। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমি বাংলার কাজ করতে চাই’। চিঠিতে অর্পিতা স্পষ্ট লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় এসে কাজ করতে পারলেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব’।
রাজনৈতিক জীবনে দল তাঁকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতাও স্বীকার করেছেন অর্পিতা ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,”তৃণমূলের সদস্য হিসেবে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। উপভোগও করেছি। লোকসভার সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি, রাজ্যসভার সাংসদ পদ, দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। সেজন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ’। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন অর্পিতা। উনিশের ভোটে তিনি জিততে পারেননি। লোকসভার পর দল তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠায়। পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতির পদও দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে সেই পদ থেকেও অর্পিতাকে সরিয়ে দিয়েছে দল।