অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করা হবে। ধরা পড়লেই ওকে মেরে দেব। এমনই হুমকি দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মন্ত্রী। আর তারপরেই রেললাইন থেকে উদ্ধার হল হায়দ্রাবাদে ছয় বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের দেহ। বুধবার সকালে রাজু নামে ওই যুবকের দেহ ঘটকেশ্বর এবং ওয়ারাঙ্গলের মাঝে ঘনপুরের পামানুরু রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাইদাবাদ পুলিশ। হাতের ট্যাটু থেকে তাঁকে শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক আত্মঘাতী হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
প্রসঙ্গত, সাইদাবাদের সিঙ্গারেনি কলোনির বাসিন্দা ওই ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল ৩০ বছরের প্রতিবেশী রাজু। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল সে। স্পেশ্যাল টিম পাঠিয়ে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না রাজুর। এমনকী, তাকে খুঁজে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াটেন্ড হিসেবে রাজুর পোস্টারও লাগানো হয়েছিল সাইদাবাদ এলাকায়। পুলিশ একাধিক ছবিও প্রকাশ করেছিল রাজুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর ছবি।
এরপরই অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার শ্রমমন্ত্রী মাল্লা রেড্ডি। তিনি বলেছিলেন, ‘অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করা হবে। ধরা পড়লেই ওকে মেরে দেব। আমরা নিগৃহীতার পরিবারের পাশে রয়েছি। তাঁদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। আমরা ওই অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে মারব।’ তাঁর এই বক্তব্যের দু’দিনের মাথাতেই মৃতদেহ মিলল অভিযুক্তের। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের নভেম্বরে হায়দ্রাবাদে একটি গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃতদের এনকাউন্টারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশ জুড়ে। রাজুর আত্মঘাতী হওয়ার খবর শুনে মন্ত্রী কেটি রামা রাও টুইট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘তেলেঙ্গানা ডিজিপি-র থেকে খবর পেলাম শিশুটির ধর্ষকের দেহ রেললাইনে পাওয়া গিয়েছে।’