দীর্ঘ ছ’মাসের অপেক্ষা। অবশেষে পুজোর আগেই খুলে গেল আলিপুর চিড়িয়াখানা। বনদপ্তরের তরফে বুধবার থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে করোনাবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশও দিয়েছে বনদপ্তর। এদিন সকাল ন’টা নাগাদ চিড়িয়াখানার দরজা দর্শক প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রথমদিনেই দর্শকদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। এদিন হাজারের বেশি দর্শক প্রবেশ করেন বলে সূত্রের খবর।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানায় দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১২ মার্চ বন্ধ হয়েছিল আলিপুর প্রাণীশালা। এর মধ্যেই চিড়িয়াখানায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ চলে। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাজ্যের একাধিক পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলতে শুরু করে। তবে বন্ধ রাখা ছিল চিড়িয়াখানা।
অবশেষে বুধবার তা খুলে গেল। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনলাইন ও অফলাইন, দু’ভাবেই টিকিট কাটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। চিড়িয়াখানার ডেপুটি অধিকর্তা পিয়ালি সিনহা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনে চিড়িয়াখানা ফের খোলা হয়েছে।
টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাঁড়ানোর আগে স্যানিটাইজার টানেলের মধ্যে দিয়ে আসতে হবে। সঙ্গে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখা আবশ্যক। ডেপুটি অধিকর্তা জানান, দর্শকদের সুরক্ষিত রাখতে চিড়িয়াখানার ভিতরের সমস্ত স্থান দিনে দু’বার করে স্যানিটাইজ করা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দর্শকদের তরফেও সহযোগিতা চাইছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি এনক্লোজারের সামনে ন্যূনতম দু’জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। পশু-পাখিদের কেউ বিরক্ত করছে কি না, বা বাইরের খাবার ছুঁড়ে দিচ্ছে কি না, সেদিকে তাঁরা নজর রাখছেন। পাশাপাশি চিড়িয়াখানার নিয়মকানুন অমান্য করতে দেখলেই তাঁরা ওই ব্যক্তিকে সাবধান করছেন।
চিড়িয়াখানার অন্দরমহলে মাস্ক খুলে ঘোরাঘুরি না করার জন্য আবেদন জানিয়েছে তারা। এদিকে, দর্শকদের একাংশের উৎপাত থেকে চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের রক্ষা করতে সিভিল পোশাকে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ।