ওই রকম চিঠি ১০০ পাই, ১৫০ পড়ি, ২০০ ছিঁড়ি-মন্তব্যকারী ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মন্তব্যস্থল বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের প্রচার। কোভিড বিধিভঙ্গ নিয়ে কমিশনের চিঠির প্রেক্ষিতে প্রিয়াঙ্কার এ হেন মন্তব্যেই আপাতত শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নিশানা করছে এই মন্তব্যকেই। বলছে, এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে কমিশনকে দেখে।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, এটা দলীয় নেতৃত্ব দেখছেন। এই ঘটনা পুরোপুরি কমিশনের সম্মানহানি। কমিশনের মেরুদন্ড থাকলে ব্যবস্থা নেবে৷ আসলে মেরুদণ্ড বলে তো একটা ব্যাপার আছে। সুয়োমোটো দেখুন। যে শব্দ বলছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার কী অবস্থা৷
চরম ঔদ্ধত্য প্রকাশ পাচ্ছে ওঁর কথায়, মনে করছেন ভবানীপুর থেকেই দিন কয়েক আগে লড়াই করে জিতে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত অনুগত সৈনিক, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, চরম ঔদ্ধত্য, আমরাও অনেক সময় কমিশনের সমালোচনা করেছি। আট দফা ভোট নিয়েও বলেছি৷ কিন্তু এমন কোনও দিন করেনি৷ সুব্রত বক্সীকে জানাব। দলের তো এটা কমিশনকে জানানো উচিত। অবশ্যই ইসি’র নজরে আনা হবে৷
দিন কয়েক আগে তৃণমূল কমিশনের কাছে নালিশ জানায় প্রিয়াঙ্কার মনোনয়নের দিনটি সামনে রেখে। অভিযোগে বলা হয়, মনেনয়ন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। কমিশন লোকসংখ্যা বেঁধে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও অনেক বেশি লোক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা ,অভিযোগ ছিল এমনটাই। এই মর্মে প্রিয়াঙ্কার জবাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় কমিশন। প্রিয়াঙ্কা পাল্টা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন তিনি কোনও ভাবেই নিয়ম ভাঙেননি।