এবার নাম না করে যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিজ্ঞাপনে মা উড়ালপুলের ছবি ব্যবহারের প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, কাউকে কাউকে তাঁর করা উন্নয়নকে নিজের বলে চালাতে হচ্ছে। এমন চিটিং না করে বললেই হত। তিনি নিজেই ছবি পাঠিয়ে দিতেন। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে মিলিত হন তৃণমূল প্রার্থী মমতা।
প্রসঙ্গত, রবিবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবি দিয়ে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে কলকাতার মা উড়ালপুলের ছবি দিয়ে দাবি করা হয়, যোগীর নেতৃত্বে এগিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এমন বিজ্ঞাপন প্রকাশের পরেই দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। সমালোচনার মুখে পড়েন যোগী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সকলেই কটাক্ষের সুরে বলেন, “উত্তরপ্রদেশে কোনও উন্নয়ন নেই। তাই যোগীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে নিজের বলে চালাতে হচ্ছে।” দলের পক্ষ থেকে এতকিছু বলা হলেও চুপই ছিলেন মমতা। কিন্তু নাম না করে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের জন্য যোগীকে কটাক্ষ করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের সভায় মমতা বলেন, “এখানে তো আমার উন্নয়নের কাজকে কোথাও কোথাও নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসলে উন্নয়নের নামে তো এতদিন কিছু করেনি ওরা। তাই তো আমার করা বিষয়গুলি চুরি করেই কাউকে কাউকে নিজের বলে চালাতে হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “কারও জিনিস এভাবে নেওয়াটা ঠিক নয়। এই ধরনের চিটিং করা কখনওই উচিত নয়। আমাকে বললেই হয়, আমি নিজেই ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতাম।”
তবে বিজেপি বা তাদের দলের কোনও নেতার নাম করেননি মমতা। যোগী বা উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। তবে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে তিনি বলেছেন, “আমাকে বাধা দেওয়া হলে আমি আরও এগোবো। প্রয়োজনে গুজরাতে গিয়ে রাজনীতি করব। ২১ জুলাই সেখানে আমরা বক্তৃতা চলতে দেওয়া হয়নি। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।” ভবানীপুরের হিন্দিভাষী ভোটারদের উদ্দেশে তাই তাঁর হাত শক্ত করতে ৩০শে সেপ্টেম্বর বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মমতা।