করোনায় প্রয়াত হলেন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ত্রিপুরায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি সেরাজ্যে সিপিএমের মুখপত্র ডেইলি ‘দেশের কথা’র সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
চলতি মাসেই করোনা আক্রান্ত হন গৌতমবাবু। বয়সজনিত কারণে আগে থেকেই বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জটিলতা আরও বাড়ে। চিকিৎসার জন্যই তাঁকে গত ৬ সেপ্টেম্বর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গতকাল রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। আজ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় গৌতমবাবুর।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সিপিএম নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেহ যাতে ত্রিপুরায় পৌঁছাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করছেন তৃণমূল নেতা। বাম ছাত্র আন্দোলন থেকে ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়ে গৌতম দাসের। একটা সময় জাতীয় স্তরে এসএফআইয়ের শীর্ষ নেতা ছিলেন গৌতমবাবু।
গৌতম দাসের প্রয়াণে ত্রিপুরা সিপিএমে বড় শূন্যতার সৃষ্টি হল। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় বামেরা ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। দল থেকে অনেক কর্মীই বিজেপি এবং তৃণমূলে যাচ্ছেন। দলে ভাঙন রুখতে যে সময় শক্ত নেতৃত্বের প্রয়োজন, তখনই গৌতমবাবুর প্রয়াণে দলের সংগঠন নিয়েও চাপ বাড়ল সিপিএমের উপর। এই পরিস্থিতিতে কে সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হন, সেটাই দেখার।
দীর্ঘদিন ধরেই ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। ত্রিপুরায় সিপিএমের মুখপত্র ডেইলি ‘দেশের কথা’ নামের সংবাদপত্রেরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালেই বিজন ধরের হাত থেকে দলের মুখপত্র পরিচালনের দায়িত্ব নেন। রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর ডেইলি ‘দেশের কথা’ প্রকাশ করতে একাধিকবার সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু তাতেও দমে যাননি।