১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। তার পর থেকেই আফগানিস্তানের মহিলা খেলোয়াড়রা দেশ ছাড়তে থাকেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। সেই সময় মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল, কাজ করারও অনুমতি ছিল না তাঁদের। কোনও রকম খেলার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে দেওয়া হত না মহিলাদের। ৮ সেপ্টেম্বর এক সাক্ষাৎকারে তালিবান নেতা বলেন, “ইসলাম ধর্মে এমন কিছু খেলার নিয়ম নেই, যেখানে শরীর দেখা যায়।”
আফগানিস্তানের যুব মহিলা দলের ফুটবলাররা দেশ ছাড়লেন। পরিবার এবং কোচেদের সঙ্গে তাঁরা পৌঁছে গেলেন পাকিস্তানে। সেখান থেকে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করবেন তাঁরা। তোরখাম সীমানা পার করে ৮১ জন আফগান পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন যুব দলের ফুটবলাররা। বৃহস্পতিবার আরও ৩৪ জনের যাওয়ার কথা পাকিস্তানে।
পাক ফুটবল ফেডারেশনের কর্তা উমার জিয়া বলেন, “৩০ দিনের মধ্যে অন্য দেশে চলে যাবেন ওঁরা। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে তাঁদের পাঠানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।” আফগানিস্তানের এই যুব মহিলা দল লাহোরে গদ্দাফি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেখানে ফিফা হাউজে রয়েছেন ফুটবলাররা।