শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি পেলে যাতে আর সময় নষ্ট না হয়, তাই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সংস্কার শুর হল। ক্লাসঘর ও ক্যাম্পাস পরিস্কার করার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক তার ও অন্য যন্ত্রপাতিগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুজোর পর রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ঝাড়পোছের কাজ এগিয়ে রাখছে কলকাতার কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ক্লাস মেরামতের জন্য ৫ দিন এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ঝাড়পোঁছের জন্য ২৫ দিন ধরে কাজ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ধুলো জমে রয়েছে। গত সপ্তাহে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে জরুরি ইসির বৈঠকের পর বিভাগীয় প্রধানদের নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ক্যাম্পাসগুলি ১৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। দুটি ঘূর্ণিঝড় এবং মুষলধারে বৃষ্টি বিভিন্ন কলেজের ভবনের কাঠামোর ক্ষতি করেছে। তাই সেগুলি দ্রুত ঠিক করার কাজ চলছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সমস্যা এড়াতে ওয়্যারিং পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্কারের পাশাপাশি চলছে ধোয়ামোছার কাজও। একইসঙ্গে স্কটিশ চার্চ কলেজের সিলিং সংস্কার হয়েছে। আশুতোষ কলেজেও শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও মেরামত করা হচ্ছে। কলেজ স্ট্রিটের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের সার্ভার ঠিক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ক্লাসরুম ও শৌচাগার মেরামত করা হয়েছে। বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের বৈদ্যুতিক তারের সংস্কার করা হচ্ছে।