পুজোর মরশুমে নাশকতার বড় ছক বানচাল করল দিল্লী পুলিশ। সূত্রের খবর দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিমের মদতে ভারতে খুব শিগগিরই বড়সড় হামলার ছক করছিল এই দলটি। সূত্রের খবর, এই দলটিতে ১৪ থেকে ১৫ জন বাংলাভাষীও ছিল। দিল্লী পুলিশের স্পেশাল সেল সূত্র মারফত খবর পেয়ে এই ছয় জঙ্গিকে আটক করেছে। এখন এই ছয়জনকেই দিল্লীতে আনা হচ্ছে।
এই ছয় জঙ্গি দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় উত্তরপ্রদেশ থেকে। দিল্লী থেকে গ্রেফতার হয়েছে দু’জনকে। রাজস্থানের কোটায় ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। ধৃতদের নাম যথাক্রমে জিসান কামার, জান মহাম্মদ, আলি ওসামা, মহাম্মদ আবু বকর। সূত্রের খবর ধৃত জঙ্গিদের আজই জেরা করবে এনআইএ।
ধৃতদের জেরা করে জানা যাচ্ছে, এদের দুজনের প্রশিক্ষণ হয়েছিল পাকিস্তানে। দ্রুত জঙ্গিরা আরও জানাচ্ছে, এদের সঙ্গেই অন্তত ১৫ জন বাংলাভাষী জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই বাংলাভাষীরা কি এই বাংলার নাকি বাংলাদেশের তা অবশ্য জানা যায়নি।
দিল্লী পুলিশের স্পেশাল সিপি নীরজ ঠাকুর বলেন, “ওই দলের মধ্যে ১৫-১৫ জন বাংলাভাষী ছিল। আমাদের কাছে খবর আছে, এই মডিউলটি নেপথ্যে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম।” মনে করা হচ্ছে উৎসবের জমায়েতে নাশকতার চালাতেই সক্ষম ছিল জঙ্গিরা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ট্রেনিং নিতে এই জঙ্গিরা মাসকট হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছিল। সেখানে ১৫ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প হয়। একে ফরটি সেভেন চালানো, আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার সেখানে শেখানো হয়।এনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে এই জঙ্গিদের পাকিস্তানে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল গাজি নামক এক সামরিক অফিসারের অধীনে। জব্বর এবং হামজা নামক আরও দুই ব্যক্তি গাজির নেতৃত্বে এদেরকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ধৃতদের কাছে প্রচুর বিস্ফোরকও পেয়েছে পুলিশ।