কয়েক দশক পর ফের বরাক উপত্যকা থেকে রাজ্যসভায় একজন বাঙালি সাংসদ হতে চলেছেন। আর রাজ্যসভায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুস্মিতা দেব। শিলচরের প্রাক্তন এই সাংসদ এদিন বলেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসামের বরাক উপত্যকার মানুষকে সম্মানিত করেছে আমাকে রাজ্যসভার সদস্যপদের জন্য মনোনীত করে।’
রাজ্যসভায় মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনের উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়, সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেবকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাবে তারা। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা দেব। এই মুহূর্তে তাঁকে ত্রিপুরা অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দলের সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেইমতো ত্রিপুরায় দলের সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন সুস্মিতা। এবার তাঁকেই রাজ্যসভার প্রার্থী করে চমক দেয় তৃণমূল।
সুস্মিতা দেব বলেন, ‘আমি আশা করিনি যে দলে যোগ দিয়েই এত বড় পুরস্কার পাব আমি। এটা ইঙ্গিত করে যে তিনি বাংলার বাইরে নিজের নেতৃত্ব দেখাতে চান। আমাদের দল মহিলা নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার জন্য মুখিয়ে আছে এবং আমাকে বাংলা থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে দল প্রমাণ করেছে যে এটা সম্ভব। আমি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম নারী যিনি এই ধরনের সম্মান পাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আসামবাসীদের ভবিষ্যত বাঁচাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। কারণ কংগ্রেস পার্টি তাদের মতাদর্শের সাথে আপোষ করেছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি কখনও বরাক উপত্যকার গর্বের কথা চিন্তা করে না। আমি সংকীর্ণ হতে পছন্দ করি না, কিন্তু আসামে আমাদের এমন একজন ব্যক্তির প্রয়োজন যিনি বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য কথা বলতে পারেন। আমাকে একটি অবস্থান নিতে হয়েছিল কারণ অনেক লোক আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। এখন এই ধরনের সম্মান পাওয়ার পর, আমি অবশ্যই আমার সমর্থকদের বলতে পারি যে আমাদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না।’