ত্রিপুরা নিয়ে এবার নতুন ভাবনা চিন্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগে থেকে কোনও কর্মসূচি ঘোষণা নয়। এবার সে রাজ্যে সারপ্রাইজ ভিজিট হবে বলে তৃণমূলের অন্দরে খবর।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আগরতলার রবীন্দ্রভবন থেকে চৌমহনি পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই পথে বুধবার অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে। ফলে দু’টি দলকে এক পথে একই সঙ্গে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে আগামী বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যে পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন তা বাতিল করতে হয়।
এরপর শোনা গিয়েছিল ১৬ সেপ্টেম্বর এই কর্মসূচি হবে। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই কর্মসূচিরও অনুমতি মেলেনি। কারণ হিসাবে সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বকর্মা পুজোয় যানজটের আশঙ্কার জন্য এই সিদ্ধান্ত।
এর আগেও ত্রিপুরায় তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি যে ভাবে নিয়মিত বাতিল করতে হচ্ছে, তাতে নতুন রণকৌশল সাজাচ্ছে তৃণমূল। এবার থেকে আর আগে ভাগে ঘোষণা করে অভিষেক ত্রিপুরা সফর করবেন না বলেই সূত্রের দাবি। বরং তৃণমূলের প্রতিনিধিরা আগে ত্রিপুরা পৌঁছে যাবেন। তার পর সেখানে গিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।
ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে ১৫ সেপ্টেম্বর ও ১৬ সেপ্টেম্বর অভিষেকের পদযাত্রা কর্মসূচি বাতিল করার বিষয় নিয়ে টুইটারে সরব হন তিনি। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক লেখেন, শত চেষ্টা করেও তাঁকে রোখা যাবে না। এদিকে তৃণমূলের ভিতরে খবর, বার বার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কর্মসূচিতে ত্রিপুরা প্রশাসনের বাধা প্রদানের পর নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তারাও। তৃণমূলের অভিযোগ, যে ভাবে তাদের একের পর এক কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, গোটা ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁর ১৬ তারিখের কর্মসূচিও বাতিলের খবর আসতেই দলীয় নেতারা বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, অভিষেকও সেখানে ত্রিপুরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই বৈঠক থেকেই মূলত উঠে এসেছে, আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে ‘সারপ্রাইজ’ কর্মসূচিতে নামবে দল।