মিলল না অনুমতি। ১৬ সেপ্টেম্বরেও ত্রিপুরা পদযাত্রা করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক আগের দিন নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই যুক্তি দেখিয়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হল না। ত্রিপুরা পশ্চিমের এসপি মানিক দাস এ প্রসঙ্গে জানান, ১৭ তারিখ বিশ্বকর্মা পুজো। তবে ১৬ তারিখ থেকেই ত্রিপুরায় পুজো শুরু হয়ে যায়। ধুমধাম করেই প্রায় প্রতিটা মোড়েই পুজো হয় এখানে। পুলিশকর্মী-সহ অনেকেই পুজোয় শামিল হন। ফলে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন থাকে। তাই ১৬ তারিখ তৃণমূল কর্মসূচীর পরিকল্পনা করলে নিরাপত্তার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কথা ভেবেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
প্রথমে ১৫ই সেপ্টেম্বর উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পদযাত্রা করার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, এ রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী মিছিলের ৭২ ঘণ্টা আগে লিখিত অনুমতি চাইতে হয়। জানাতে হয়, মিছিলের বিস্তারিত তথ্য। কারা থাকবেন মিছিলে, কোন পথে হবে মিছিল, তা লিখিতভাবে পুলিশকে জানাতে হয়। কিন্তু তৃণমূলের তরফে লিখিতভাবে সেই অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে দাবি পুলিশের। তাদের আরও দাবি, ওই একই দিনে একই সময়ে একই রুটের অন্য একটি দলের রাজনৈতিক কর্মসূচী রয়েছে। যারা আগেই লিখিতভাবে অনুমতি চেয়েছিল। তাই তৃণমূলের বদলে সেই রাজনৈতিক দলটিকে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ বিকেলের দিকে ১৫ তারিখের বদলে ১৬ তারিখ পদযাত্রার পরিকল্পনা করে তৃণমূল। অন্য রুটে মিছিল করার জন্য পুলিশি অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু এবার বিশ্বকর্মা পুজোকে সামনে রেখে অনুমতি দেওয়া হল না। এপ্রসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় ত্রিপুরা বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক। লেখেন, “বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই বিপ্লব দেব সর্বশক্তি দিয়ে আমাকে ত্রিপুরায় যাওয়া থেকে আটকাতে চাইছে। কিন্তু এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না। সত্যিটা সামনে আসবেই।” এরপরই সিনেমার সংলাপ দিয়েই তাঁর উক্তি, “ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লাগা।”