বুধবারই আগরতলার বুকে প্রথম পদযাত্রা করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারজন্য প্রস্তুতিও চলছে পুরোমাত্রায়। জনসমাগমকে ঐতিহাসিক করে তুলতে চায় জোড়াফুল শিবির। রবিবার সেই পদযাত্রার কর্মসূচী নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কর্মী-সমর্থকদের পদযাত্রায় আসা ও বাড়ি ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হবে। দীর্ঘ চার কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ওইদিন বিজেপি শিবির থেকে একাধিক নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। এছাড়াও ত্রিপুরার সংগঠন নিয়ে বেশ কিছু ঘোষণাও হতে পারে। পদযাত্রার পরে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় নেতৃত্বকে একাধিক পরামর্শ দেবেন অভিষেক। ফলে তাঁর আগরতলা সফর নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলের। রবিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “ত্রিপুরাতে প্রতিদিন তৃণমূল শক্তিশালী হচ্ছে। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিজেপি আউট এবং তৃণমূল ইন।” একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। সামনের কয়েক মাস অপেক্ষা করুন, জাতীয় রাজনীতির অনেক কিছু দেখতে পাবেন।” পাশাপাশি তৃণমূল এটাও বলেছে, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি সরকার চালাতে ব্যর্থ। তারজন্য বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা ইস্তফা দিচ্ছেন। তাঁরা প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, এদিন ত্রিপুরার সাবরুমে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সেখানে যোগদান পর্ব হয়। বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী দাবি করেন, ১১৮৭টি পরিবার থেকে ৩৬৫১ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাতে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল থেকেও মানুষজন এসেছেন বিজেপিতে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, “তৃণমূল পদযাত্রা করতেই পারে, আমরা তা নিয়ে ভাবছি না। কারণ ওদের কোনও শক্তিই নেই।” এখানেই বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেছেন, “যোগদান পর্বের মাধ্যমে বিজেপি প্রমাণ করে দিল ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে। সংগঠন বাঁচাতে এখন তাদের তৃণমূল থেকে লোক নিতে হচ্ছে।”