ফিরল স্বস্তি। পরপর তিনদিন সাড়ে সাতশোর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। যা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল রাজ্যবাসীর। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী এক ধাক্কায় অনেকটা কমল রাজ্যের সংক্রমণ। তাতেই কমেছে আশঙ্কা। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত রাজ্যের ৫০৬ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০। বেড়েছে সুস্থতার হার। যা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০৪ জন উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিনও প্রথম ওই জেলা। তবে আগের দিনের তুলনায় খানিকটা কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ৯৩ জন। অর্থাৎ ওই তিলোত্তমাতেও নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ।
উল্লেখ্য, দৈনিক সংক্রমণে ফের তৃতীয় স্থানে নদীয়া। একদিনে সেখানকার ৪৬ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। চতুর্থ স্থানে দার্জিলিং ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৩১ জন করে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় কম বেশি রাজ্যের বাকি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একদিনে পজিটিভিটি রেট ১.৮৭ শতাংশ। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫,৫৭,৭১৪। একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ১০ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে নদীয়া ও কলকাতা। একদিনে করোনার বলি সেখানকার ৩ জন করে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে ওই জেলার বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮, ৫৮৭ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৫৮৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৫,৩০,৭৩১। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সেফ হোমের সংখ্যা ২০০।