সমস্ত দেশের উদ্ধারকার্য শেষ হওয়ার পরেও এক সপ্তাহের বেশি সময় হাত গুটিয়ে বসেছিল তারা। তবে আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদ কাবুলে পৌঁছনোর তিন দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে তালিবান সরকার। আর এই বিষয়টিকে নেহাতই কাকতালীয় হিসেবে দেখছে না সাউথ ব্লক। বরং এই তালিবানের পাক-যোগ দিবালোকের মতো স্পষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে তালিবানি উত্থানের প্রভাব কি পড়বে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরেও? পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানি সংযোগ এ নিয়েই ভাবতে বাধ্য করছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপত্যকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানালেও, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বলছে তালিবানের ক্ষমতায় ফেরাকে কাজে লাগিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নাশকতা বাড়াতে পারে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আবার, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে তালিবানের ঘনিষ্ঠতা উপত্যকার নিরাপত্তাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রত্যক্ষ ভাবে আফগান তালিবানকে সাহায্য করছে বলে খবর সামনে এসেছে। পাকিস্তানের শাসকদলের এক নেত্রীই দাবি করেছিলেন আফগানিস্তান দখলে তালিবানকে সাহায্য করেছে ইসলামাবাদ। বিনিময়ে কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে তালিবান। তাছাড়া, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আরও হাজার চারেক জঙ্গী রয়েছে আফগানিস্তানে। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গী সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে ভারতের কাশ্মীরে নাশকতার ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাশ্মীরি যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জঙ্গী দলে ঢোকানোর চেষ্টাও হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। গত দেড়-দু্’বছরে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। উপত্যকায় একের পর এক সেনা অভিযানে খতম হয়েছে জইশ, লস্করের সক্রিয় কম্যান্ডাররা। কিন্তু তালিবানের ক্ষমতা দখলে উপত্যকার পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।