আরও একবার বাংলাকে অপমানের অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেতেই শুরু বিতর্ক।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। একদিকে প্রার্থী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন সদ্য তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী। অবশেষে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন একটি নাটকীয় মোড়ে জয় পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন এবং বিষয়টিকে কোর্টে নিয়ে যান। এরপর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী মুখ কে হবেন তা নিয়ে তুঙ্গে ছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই সব জল্পনার অবসান করে আজই ভবানীপুর-সহ জঙ্গীপুর ও সামসেরগঞ্জ -এর প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। ভবানীপুরে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। জঙ্গিপুরের প্রার্থী সুজিত দাস এবং সামসেরগঞ্জ থেকে লড়বেন মিলন ঘোষ।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই বিপাকে বিজেপি। বাংলাকে অপমানের অভিযোগ উঠল ফের তাদের বিরুদ্ধে। কারণ প্রার্থী তালিকায় নেই বাংলা ভাষা। মূলত হিন্দী ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে তালিকা। আনুসাঙ্গিক ভাষা হিসেবে রয়েছে ইংরেজি। বাংলা ভাষা ব্রাত্য। ঠিক এমনটাই হয়েছিল চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময়। বিস্তর সমালোচিতও হতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। বাংলাকে অপমান করার মাসুলও চোকাতে হয়েছিল ভোটে পরাজিত হয়ে। কিন্তু তা থেকে যে গেরুয়া শিবির কোনও শিক্ষাই নেয়নি তা আরও একবার প্রমাণ হল উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকায়।