বিশ্বভারতীতে বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে একাধিক চিঠি লিখেছিলেন তিনি। অভিযোগ করেছিলেন, পাঠভবনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে। এবার সেই সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ল আরও একমাস। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী। ৬ সেপ্টেম্বরের থেকে সেই মেয়াদ আরও একমাস বর্ধিত করা হল। এই মর্মে বিশ্বভারতী তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
সুদীপ্তবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নাকি পাঠভবনের অধ্যক্ষের নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পাঠভবনের অধ্যক্ষর মানহানি হয়েছে বলে দাবি বিশ্বভারতীর। আর এই মর্মেই সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার সেই মেয়াদ বৃদ্ধি পেল। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে অবিলম্বে ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। সেই সঙ্গে সাসপেন্ড হওয়া অধ্যাপককে মামলা করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত তিন ছাত্র-ছাত্রীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি পত্র দেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।