মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও বারবারই বেসুরো হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অবশেষে গত মাসের শুরুতেই ফেসবুকে ঘটা করে রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, ভোটারদের প্রতি কর্তব্যপালের কারণে যুক্তি দেখিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি। এবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেই ফের দেখা যাবে গেরুয়া মঞ্চে। ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচার করবেন আসানসোলের সাংসদ। বিজেপির তরফে ভবানীপুরে তারকা প্রচারকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতেই ৮ নম্বরে নামটি বাবুল সুপ্রিয়র। তাহলে কী ফের সক্রিয় দলীয় রাজনীতিতে ফিরছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী? এই প্রশ্নই যখন জোড়াল হচ্ছে তখনই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গোটাটাকেই ‘নাটক’ বলে বিঁধে বাবুলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
কুণাল ঘোষ টুইটারে লিখেছেন, ‘এটি যদি উপনির্বাচনে বিজেপির তারকা বক্তা তালিকা হয়- ১) মোদীজি, শাহজি, নাড্ডাজির মত ডেইলি প্যাসেঞ্জাররা কই? ২) কৈলাস বিজয়বর্গীয় কই? ৩) বাবুল নাকি প্রত্যক্ষ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন? তখনই বলেছিলাম নাটক। নাকি এখানে বিশেষ কোনো কারণ?’ উল্লেখ্য, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র সম্পর্ক মধুর নয়। প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ভোটের সময় দিলীপের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন আসানসোলের সাংসদ। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার নেপথ্যেও যে এই ইস্যু অন্যতম কারণ ছিল তাও জানিয়েছিলেন বাবুল। ফলে প্রশ্ন উঠছেই যে, তাহলে হঠাৎ কেন এহেন দলত্যাগীকেই ফের ভাবনীপুরের মতো তৃণমূলের ঘাঁটিতে তারকা প্রচারক করে আনা হচ্ছে? যদিও এ নিয়ে এখনও মুখ খুলতে দেখা যায়নি বিজেপির কোনও রাজ্য নেতাকে।