কাটছে না অচলাবস্থা। আদালতের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা কাটলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া। বুধবার ৩ পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, “আদালত বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের পঠন পাঠনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও এই সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।”
আদালতের নির্দেশের পরে এদিনও উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটার দূরে ছাত্রদের বিক্ষোভ মঞ্চ দেখা যায়। বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়া জানান, তাঁরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ইমেল মারফত অনুরোধ করেছেন, কোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁদের যেন ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। ২৭শে আগস্ট থেকে তাঁদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু হয়। অচল হয়ে পড়ে বিশ্বভারতী। এই অবস্থায় হস্তক্ষেপ করে আদালত।
এরপর শুনানির প্রথম দিনই উপাচার্যের বাড়ির সামনে থেকে ধর্ণা মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে ৩ ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশের পাশাপাশি উপাচার্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন বিচারপতি। পড়ুয়াদের লঘু পাপে গুরু দন্ড দেওয়া হয়েছে এমন মন্তব্য করে আদালত। সেই সঙ্গে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আরও বলেন, “উপাচার্য যদি নিজেকে আইনের থেকে বড় মনে করেন, তাঁকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে আদালত।”