উপনির্বাচনে নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোট। আর তাতে প্রার্থী হতে গেলে মনোনয়ন জমা দিতে হবে আগামী সোমবারের মধ্যে। তবে বিজেপির তরফে প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে এখনও জারি রয়েছে ধোঁয়াশা। দু-এক দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু রাজ্য বিজেপির আশঙ্কা সেই নামে খুব একটা চমক নাও থাকতে পারে। কারণ, যে সব নামজাদা বিজেপি নেতার কথা ভাবা হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা প্রার্থী হয়ে হারার পর দ্বিতীয় বার হারতে চাইছেন না। অনেকেই সরাসরি ‘না’ বলে দিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে না বললেও, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই নামকাওয়াস্তে হবে বলেই মনে করছেন দলের শীর্ষ মহলও।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। রাজ্যপাল থাকার মেয়াদ শেষে তথাগতর ইচ্ছা ছিল বিধায়ক হয়ে ফের রাজনীতির ময়দানে নামবেন। কিন্তু দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। সেই জায়গায় বিজেপিতে যোগ দিয়েই প্রার্থী হয়ে যান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। দল বললে তিনি উপনির্বাচনে লড়াই করতে রাজি বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন রুদ্র। কিন্তু রাজ্য বিজেপির একটা অংশ সেটা চাইছে না। তাঁদের যুক্তি, নবাগতদের প্রার্থী করে ভাল ফল পায়নি দল। ফের সেই ভুল করাটা ঠিক হবে না। অন্যদিকে তথাগতও নাকি এখন বয়সজনিত কারণ দেখিয়ে লড়াই করতেই চাইছেন না।
এদিকে, আলোচনায় এসেছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষ, বিজেপির তাত্ত্বিক নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকের নাম। কিন্তু এঁরা কেউ-ই লড়তে চাইছেন না বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কারও নাম না করেও বলেন, ‘অনেক নাম শোনা যাচ্ছে। সবই বাতাসে ভাসছে। কিন্তু যে নামজাদাদের কথা শোনা যাচ্ছে তাঁদের অনেকেই দাঁড়াতে চান না। এঁদের কারও কারও সঙ্গেই দলের তরফে কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু রাজি হননি। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে কে প্রার্থী হবেন।’