ভোট প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যের মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো জুলাই মাসেই প্রকল্পের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলিতে আকর্ষণের কেন্দ্রে তা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে এই প্রকল্পের জন্য। তবে সে খরচ ১৫ হাজার কোটি বছরে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছে অর্থ দফতরের আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে দু’কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে সুবিধা পাবে তা ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদনপত্র জমা পড়ার সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ কোটির কাছাকাছি। সেক্ষেত্রে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্য অর্থ দফতর।
প্রসঙ্গত, এবারের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলোতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য সবথেকে বেশি ভিড়। আগেরবারের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের আকর্ষণ ছিল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কিন্তু এবারের ভিড় বাঁধভাঙা। কারণ একটাই— লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। নবান্ন সূত্রে খবর, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রত্যেক মাসে ১৩০০ থেকে ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে যদি দু’কোটি মহিলা এই সুবিধা পান তাহলেই রাজ্যের কোষাগার থেকে এই খরচ হবে বলেই মনে করছে রাজ্য অর্থ দফতরের আধিকারিকরা। যদিও সেই অর্থের সংস্থানের জন্য ইতিমধ্যেই নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতরের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা রয়েছে।