করোনা অতিমারির জেরে অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি টানা দেড় বছর বন্ধ বাংলার স্কুলগুলিও। এই মুহূর্তে সেগুলি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, সংস্কারের প্রয়োজন কতটা, জেলাশাসকদের খরচের তালিকা পাঠাতে বলল বিকাশ ভবন। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই তালিকা পাঠাতে হবে।
জানা গিয়েছে, করোনার জন্য গত দেড় বছর বন্ধ থাকায় বহু স্কুলের ক্ষতি হয়েছে। তারওপর আমফান ও ইয়াসের জেরে বহু স্কুলভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দীর্ঘদিন পড়ে থেকে বহু স্কুলভবনের বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে। স্কুল চালু হওয়ার আগে তা সারিয়ে তোলা হবে। সারাতে কত টাকা লাগতে পারে, তা জানতে বিকাশ ভবন জেলাশাসকদের কাছ থেকে তথ্য নিতে চাইছে। ১৫ সেপ্টেম্বর এই তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই পুজোর পর স্কুল খোলার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতমাসে তিনি বলেছিলেন, ‘পুজোর পরই স্কুল খুলবে রাজ্যে। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপর তা খোলা হবে। তবে তা হবে যদি তৃতীয় ঢেউ না আসে। তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়ঙ্কর না হয়। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। এখন বাংলার অবস্থা ঠিকই আছে। ১ শতাংশের আশেপাশে সংক্রমণ। তবে আমরা চাই সকলে ভাল থাকুন।’