রাজ্যে ফের শুটআউট। ভরদুপুরে বাড়ি ফেরার পথে গুলিতে প্রাণ হারালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে। তিনি নিজেও তৃণমূলের নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল আউশগ্রামে। অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়াশিবির। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মৃতের নাম চঞ্চল বক্সি। তাঁর বাবা শ্যামল বক্সি দেবশালা পঞ্চায়েত তৃণমূলের প্রধান। আউশগ্রামের গেরাই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন এলাকার তৃণমূলের নেতারা। বাবা শ্যামল বক্সির সঙ্গেই ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন চঞ্চল বক্সি।
বাবাকে বাইকে নিয়ে সেখান থেকে ফিরছিলেন চঞ্চল। গেরাই গ্রাম ছেড়ে বেরতেই বাইকে করে চার যুবক এসে চঞ্চলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাইক নিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন চঞ্চল। ওই যুবকের পিছনের গাড়িতেই ছিলেন অন্যান্য নেতারা। তাঁরাও ফিরছিলেন অনুষ্ঠান থেকে। তড়িঘড়ি যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জামতাড়া হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে মৃতের বাবা শ্যামল বক্সি বলেন, “দুটো বাইকে মোট চারজন এসেছিল। সঙ্গে প্রচুর অস্ত্র ছিল। ছেলেকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তবে তাড়াহুড়োয় একটা অস্ত্র ফেলে দিয়েছে।” ভালকি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “আমার গাড়ি পিছনে ছিল। চোখের সামনে ঘটনাটি দেখেছি। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হায়দর আলি বলেন, “চঞ্চল আমাদের একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। যেহেতু দেবশালা এলাকায় আমাদের ভাল ফল হয়েছিল, তাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওঁকে খুন করেছে।”