হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। আগামী মাসেই বাঙালির ১৩ পার্বনের শ্রেষ্ঠ পার্বন শারদোৎসব। তবে রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটা স্তিমিত হলেও তৃতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়া সময়ের অপেক্ষামাত্র। তাই কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে পুজো হবে, তা ঠিক কর্যে আজ পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসে রাজ্য। সেখানেই বড় ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছরের মতো এ বছরও প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে পুজোর খরচ বাবদ। এখানেই শেষ নয়, বিদ্যুৎ বিল-সহ অন্যান্য সমস্ত লাইসেন্স খরচও মুকুব করা হবে, আজ নেতাজি ইন্ডোরে দুর্গা পূজার গাইডলাইন নিয়ে বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে করোনা গাইডলাইন নিয়ে এই বৈঠকের পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। করোনাকে মাথায় রেখে কী ভাবে দুর্গাপুজো করা সম্ভব, এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, তা অনুমেয়ই ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন শুরুতেই বুঝিয়ে বলেন, নির্বাচন পেরিয়ে যাওয়ার পর এই বৈঠক করলে দেরি হয়ে যেত। যদিও নির্বাচন থাকলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ পালন করতে হয় তবুও তিনি অনুমতি নিয়েই এই বৈঠক করেছেন তা স্পষ্ট করে দেন। পুজো কমিটি দের আশ্বস্ত করে এদিন রাজ্যের বার্তা, গত বছর রাজ্যের তরফে যা যা করা হয়েছিল এবারও তাই বলবৎ থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখান, সারা রাজ্যে প্রায় ৩৬ হাজার বড় পুজো হয়। এর মধ্যে কলকাতার রেজিস্টার্ড ক্লাবের সংখ্যা ২৫০০। মুখ্যসচিবের ঘোষণা অনুযায়ী, এই সব উদ্যোক্তাই ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য সুবিধে পাবে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ পুজো কমিটিগুলোকে ছোট করে সুন্দর করে পুজো করতে হবে। সকলকে মাস্ক ব্যবহার করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্নিভাল হবে কি হবে না তা নিয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ দিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ক্লাবগুলোকে কোভিড সচেতনতা প্রচার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তৃতীয় ঢেউ যদি না আসে তবে এ বছর পূজার বিসর্জন হবে ১৫, ১৬, ১৭ অক্টোবর অর্থাৎ একাদশী, দ্বাদশী ও ত্রয়োদশীর দিন।