রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের। এই দাবি বারবার করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালও সেই একই দাবি দিল্লীতে ইডি’র দফতর থেকে বেড়িয়ে করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি সকলের সামনেই জানিয়ে দেন ৫ জন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এতদিন তাঁদের দলে নিয়নি, এখন নেব। যার পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ বাবুর মন্তব্যের পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের পুর-নগরন্নোয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অভিষেকের বক্তব্যর পাল্টা দিতে গিয়ে দিলীপবাবু আজ জানান, ‘আমি জানি না ২৫ কি ৫০, আগে তো বিধায়ক, সাংসদরা ইডি, সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচুন, তারপর আমাদের বিষয় ভাববেন।’ এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিধায়করা সবাই ঠিকই আছে। অনেক তো হল, তারপরেও দিলীপবাবুর মুখে এসব কথা শুনে লোকে হাসছে। সুতরাং নিজেরা কী করবেন ভাবুন।
গতকাল সময়ের আগেই দিল্লীর জামনগরে ইডির দফতরে কয়লা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে জেরার মুখে পড়েন অভিষেক। কিন্তু টানা নয় ঘণ্টা এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির আধিকারিকরা। যাকে রাজনৈতিক উদেশ্যেপ্রণোদিত বলে তোপ দাগেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক যা বলেছেন, সে অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। ভোটের আগের থেকেই তো ওনার দলের নেতা-বিধায়করা অন্য নেতৃতের কথা শুনছেন। তাঁদের কাছে যাচ্ছন এখন তো দিলীপবাবুর নেতৃত্বটাই তো প্রশ্ন চিহ্নর মুখে আছে। সুতরাং এইসব কথা দিলীপবাবুর মুখে মানায় না।’