বাংলায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ও ঘোষণা হতেই জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে উঠে আসছে এসময়ের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী পদে কাকে দাঁড় করাবে বিজেপি? সূত্রের খবর, রুদ্রনীল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলেও তৈরি আছেন, তাই তাকেই আবার দাঁড় করানো হোক, মত নাকি অনেকেরই। তিনি নাকি দিন কয়েক আগে দিল্লী গিয়ে শিবপ্রকাশের সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। এমনকী ফিরে আসার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও নাকি দেখা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তবে দিলীপ-শিবিরের অধিকাংশই রুদ্রনীলকে প্রার্থী হিসেবে চান না। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর পরাজয়ের মার্জিন নিয়ে ওয়াকিবহাল দল। তাঁরা চান, এখানে ঠাঁই পাক কোনও যোগ্যতম মুখ। সোশাল মিডিয়ায় নাম উঠছে তথাগত রায়ের। আবার তরুণজ্যোতি তেওয়ারীর মতো যুব নেতার নামও শোনা যাচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন, প্রার্থী করা হোক রাহুল সিনহাকে।
উল্লেখ্য, শুধু ভবানীপুরই কেন, সীমিত ক্ষমতা বিষয়ে ওয়াকিবহাল কেন্দ্রীয় বিজেপি যখন উপ নির্বাচন নিয়ে খানিকটা গা-ছাড়া মনোভাবই দেখাচ্ছে তখন বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী দিতেও রাজি নয় রাজ্য বিজেপি। তারা বলছেন, এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্র একতরফা ছড়ি ঘোরাক তা তারা কোনও মতেই চান না। তাদের লড়াই করার মতো উপযুক্ত প্রার্থী রয়েছে। রাজ্য বিজেপির নেতারা বিলক্ষণ জানেন সামশেরগঞ্জ এর মতো আসনে প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। কিন্তু ভবানীপুরের মত আসনে লড়াই করতে উপযুক্ত প্রার্থীদের বেছে নিক কেন্দ্র এমনটাই চাইছে রাজ্য বিজেপি। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য বিজেপি উপনির্বাচন নিয়ে ততটা ইতিবাচক ছাল না। কারণ এত বড় ধাক্কা সামলে এক্ষুনি উপনির্বাচনে ভাল ফল হবে এমনটা অতি আত্মবিশ্বাসী বিজেপি ও মনে করে না। বিশেষত লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো সরকারি প্রকল্পের সাফল্য যে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ককে আরও ভরপুর করবে, তা জানেন রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।